এবিএনএ : করজাল সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়াতে উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস স্থাপনের কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।এ লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে অফিসের জন্য জমি বরাদ্দ বা বাড়ী ভাড়া নেওয়াসহ প্রয়োজনীয় জনবল কাঠামো নির্ধারণের জন্য কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এনবিআর থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে কর কমিশনারদেরকে চিঠি দেওয়া হয়।এতে প্রত্যেক উপজেলা কর অফিসে একজন উপ কর কমিশনার বা সহকারী কর কমিশনার অথবা একজন অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনারের সমন্বয়ে জররীভিত্তিতে ৭ সদস্যের জনবল কাঠামো নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগ) মো. আব্দুর রাজ্জাক বাসসকে বলেন,‘কাগজে-কলমে ৮৫ উপজেলায় কর অফিসের কথা বলা হলেও কার্যত ৩৭ উপজেলায় কর অফিস রয়েছে। বাকী উপজেলা কর অফিসগুলো কমিশনারের অফিস অথবা জেলা পর্যায়ে সংযুক্ত। আমরা এই অফিসগুলোকে উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন অফিসও করতে চাই।’ তিনি বলেন,আগামী অর্থবছরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে মোট ৬৮টি নতুন কর অফিসের কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।জুলাই মাস থেকে এসব কর অফিসের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে শুরু হবে। আব্দুর রাজ্জাক বলেন,উপজেলা পর্যায়ে বহু ছোট-বড় কারখানা,ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ কর আদায়ের অনেক উৎস থাকলেও তা থেকে কর আদায় সম্ভব হয় না।সক্ষম অনেক করদাতা কর দেন না।এসব বিবেচনা ও করদাতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলায় কর অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে কর প্রশাসনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ হলে উল্লেখ্যযোগ্যহারে নতুন করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এনবিআর সদস্য জানান,আগামী অর্থবছরে ৬৮টি নতুন কর অফিস স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও পরবর্তীতে এর সংখ্যা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত,সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত অর্থনৈতিক সাংবাদদাতাদের সাথে এক প্রাকবাজেট আলোচনায় রাজস্ব আয় বাড়াতে উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস স্থাপনের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন,৪৯৫ উপজেলায় কর অফিস স্থাপনের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এনবিআর সূত্র জানায়,সরকার গতবছর সংসদ সদস্যদের কাছে ‘করজাল’ বাড়ানোর অভিমত চাইলে সংসদ সদস্যরা শহরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও মানুষকে ন্যুনতম করের আওতায় আনার পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শ, শহরে তদারকির ফলে করদাতা কিছুটা হলেও বাড়ে। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে তদারকির অভাবে অনেক করদাতা করজালের বাইরে থেকে যান।সংসদ সদস্যরা সব উপজেলায় কর অফিস স্থাপনের পরামর্শ দেন।তাদের এ অভিমতের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের মধ্যে সব উপজেলায় কর অফিস স্থাপনের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী।